নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান সরকারের নোংরা নাটক : রিজভী

প্রকাশ: ১৭ জুলাই, ২০২৪ ১০:৩৬

পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে


বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মঙ্গলবার দিনগত রাত ১টায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন। ছবি : এনটিভি

সিবিএন ডেস্ক:
মধ্য রাতে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গোয়েন্দা পুলিশের অভিযান ‘সরকারের নোংরা নাটক’ আখ্যা দিয়ে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দিনগত রাত ১টায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

রিজভী বলেন, ‘এটা (পুলিশের অভিযান) সরকারের একটি নোংরা তামাশা, নোংরা নাটক। উদ্দেশ্য হচ্ছে, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের এক ধরনের বার্তা দেওয়া, যান তারা ভয় পায়।’

‘কাপুরষের মতো বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মধ্যরাতে অভিযান চালানো হয়েছে। তারা একাকি ঢুকে নাটক করেছে যে, বিএনপির কার্যালয়ের ভেতরে বিস্ফোরক আছে, লাঠিসোটা আছে ইত্যাদি। আমি সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই ঘৃণ্য চক্রান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি, আমি ঘৃণা জানাচ্ছি’, যোগ করেন রিজভী।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বিএনপি গণমানুষের দল। তারা বারবার সরকার গঠন করেছে, কেন সেই দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিস্ফোরক থাকবে, লাঠিসোটা থাকবে? এটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নোংরা চাতুর্য। মানুষের কাছে বিএনপিকে নোংরাভাবে সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত করার জন্যই এই মধ্য রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই নাটকটি মঞ্চস্থ করা হয়েছে।’

বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘আমি একটা কথাই বলতে চাই, যখন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সব নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিল, সব গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিল, তখন কেন আপনারা এই কার্যালয়ে আসেননি। এই মধ্য রাতে কেন এলেন? তার মানে শূন্য কার্যালয়ের ভেতরে যেকোনো ধরনের চক্রান্ত আঁটা যায়। এর আগেও আপনারা এসব নাটক করেছেন। একেবারে ভিডিওতে দেখা গেছে যে, একটা বেগের মধ্যে করে কিছু নিয়ে ঢুকছে পুলিশের লোকজন। এটা তো তারই আরেকটি ‍দৃষ্টান্ত তৈরি হয়েছে আজকে।’

অভিযানের আগে কেকটেল বিস্ফোরণের কথা উল্লেখ করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘অভিযান শুরুর আগে প্রথমে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ হলো রাতে। আমরা তখন বেরিয়ে গেছি। তারপর কিছুক্ষণ গুলি হলো। বিএনপির কার্যালয়ে তো কেউই নেই।’

রিজভী বলেন, ‘তাহলে ককটেল বিস্ফোরণটা কে করল? হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন করেছে না হলে আশপাশের যুবলীগ-ছা্ত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে করানো হয়েছে পুলিশের প্রোটেকশনে। অফিস রেট করতেই এটা (ককটেল বিস্ফোরণ, গুলি) ঘটানো হয়েছে। ওই সময়ে সেখানে অনেক আনরোলিং পারসনকে দেখা গেছে বিএনপি অফিসের আশপাশে বিচরণ করছে। তারা কারা? হয় গোয়েন্দা বাহিনীর লোক, না হয় পুলিশের ছত্রছায়ায় যুবলীগ-ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা।’

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমি সেখান থেকে জানতে পেরেছি, আমাদের যেসব অফিসের পিয়নরা ভয়ে পালিয়ে গিয়ে আশপাশে অবস্থান করেছেন, তারা যতটুকু আমাকে জানিয়েছেন সেটা এটাই যে, তারা (আইনশৃঙ্খলা বাহিনী) পূর্বের মতো একটা নাটক মঞ্চস্থ করার জন্যই বিএনপির প্রধান কার্যালয়ে তারা হানা দিয়েছে, রেট করেছে।’

রিজভী আরও বলেন, ‘আমি দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, এই ধরনের নোংরা চাতুর্যের আশ্রয় নিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। আজকে আওয়ামী লীগের ডামি সরকার যে অনাচার, দুঃশাসন তৈরি করেছে সেটাকে এই ধরনের নাটক দিয়ে আড়াল করতে পারবেন না। আপনাদের পতন অত্যাসন্ন। আজকে সাংবাদিকরা এত রাতে কার্যালয়ের সামনে ছুটে এসেছেন তারা এই নোংরা নাটক মঞ্চস্থ করার যে প্রচেষ্টা সরকারের পক্ষ থেকে, তার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী করেছেন তা তারা (সাংবাদিকরা) স্বচক্ষে দেখেছেন।’